নিজস্ব সংবাদদাতা : চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে এক ইউপি সদস্যের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোপালপুর থানা পুলিশ গতকাল শনিবার বিকেলে হেমনগর ইউনিয়নের শিমলাপাড়া গ্রামের কুখ্যাত মামলাবাজ জুলফিকার আলীকে গ্রেফতার করেছে। পরে তাকে আদালত জেলহাজতে পাঠায়। মামলার তদন্তকারী দারোগা হাসান জামিল পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে মাননীয় আদালত আগামিকাল রবিবার রিমান্ড বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য্য করে।
মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে গোপালপুর থানা পুলিশ জানায়, হেমনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাহবুবুর রহমান টুটুল গত মঙ্গবারবার সকালে অগ্রনী ব্যাংক হেমনগর শাখা থেকে দেড়লক্ষ টাকা তুলে ঠিকাদারি কাজের সাইট পরিদর্শনে যাওয়ার পথে শিমলাপাড়া গ্রামে জুলফিকার ও নাজিরুল ইসলাম বাদল পথ আটকিয়ে চাঁদা দাবী করে। ইউপি মেম্বার টুটুল চাঁদা দিতে অস্বিকৃতী জানালে টুটুল মেম্বারের উপর ক্ষুব্দ হয়ে তাকে বেদম পিটুনি দেয়াসহ তার মোটর সাইকেল ভাংচুর করে এবং তার পকেটে থাকা দেড় লক্ষ টাকা ছিনতাই করে নেয়া হয়।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলো জাহানারা বেগম বকুল, ছোটন ও বাপন খান। এদিকে মামলাবাজ জুলফিকারের গ্রেফতারের খবরে এলাকায় আনন্দে নলিন ও হেমনগর বাজারে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
হেমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রওশন খান আইয়ুব জানান, জুলফিকার ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রধান পেশা মামলামোকদ্দমা করা। বিগত ৩০ বছরে জুলফিকার তার চার বোন দুই ভাগ্নী ও মা ফজিলাতুনেচ্ছাকে বাদি সাজিয়ে ৬৯টি সাজানো ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে ৩১টি ধর্ষণ ও মানহানি মামলা। এসব বানোয়াট ও সাজানো মামলায় আসামী করা হয় শতাধিক নিরীহ ও সজ্জন মানুষকে। এমনকি থানার ওসি, ইউএনও, পৌর মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান, কলেজ শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যাংকার পর্যন্ত রেহাই পায়নি এসব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার ঝামেলা থেকে। ইদানিং জুলফিকার পল্লী বিদ্যুতের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে তার ভগ্নীপতি নাজিরুল ইসলাম খান বাদল এবং জ্যাষ্ঠ ভগ্নী জাহানারা বেগম বকুলের সহযোগিতায় পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেয়ার নামে অবাধে চাঁদাবাজি করছে। চাঁদা না দিলে মা-বোন দিয়ে বানোয়াট মানহানি মামলায় হয়রানির হুমকি দিচ্ছে। ওই চেয়ারম্যান মামলাবাজ ও চাঁদাবাজ জুলফিকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।